প্রত্যয় ডেস্ক: সীমান্তে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে সেনাদের কিছুটা সরিয়ে নিয়েছে ভারত ও চীন। উত্তেজনা কমাতে ‘বাফার জোন’ তৈরির উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গেছে। গত ১৫ জুন এই এলাকাতেই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০ ভারতীয় সেনা, আহত হন অন্তত ৭৬ জন। চীনের কতজন হতাহত হয়েছিলেন তা নিশ্চিত করেনি বেইজিং।
সেনা সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গালওয়ান উপত্যকার আশপাশের এলাকা থেকে সেনাসদস্যদের অন্তত এক কিলোমিটার পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে। সরানো হয়েছে কিছু অস্থায়ী স্থাপনাও।
জানা গেছে, চীন সেনারাও প্রায় এক-দুকিলোমিটার পিছিয়েছে। তবে গালওয়ান নদীর তীরে এখনো পিপলস লিবারেশন আর্মির সাঁজোয়া গাড়ি অবস্থান করছে। ওই এলাকায় ভারত ও চীনা সেনাদের মধ্যে তৈরি করা
বাফার জোনটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের প্রাথমিক ধাপ কি না তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
এর আগে সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে লাদাখে সেনা মোতায়েন জোরদার করে দুই দেশই। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষই ব্যাপক যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়। গালওয়ান উপত্যকায় চীনের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের চিত্র ধরা পড়েছে স্যাটেলাইটের ছবিতে। বিপরীতে, যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টারসহ সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে ভারতও।
গত ২২ এবং ৩০ জুন দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে বৈঠকের পর এই সেনা পেছানো হলো। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তেজনাপূর্ণ এই অঞ্চলটি সফর করেন। গালওয়ান ও গোগরা হট স্প্রিং এলাকায় প্রক্রিয়া কার্যকর হলেও প্যাংগং লেকের উত্তরে চীন সেনা সরবে কি না, সে বিষয়ে সন্দিহান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। কারণ সেখানে ফিঙ্গার এরিয়া ৪ থেকে ৮-এর মধ্যে একাধিক স্থানে রাস্তা, কালভার্ট, কংক্রিটের বাঙ্কার তৈরি করে স্থায়ী ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে চীন। ফলে এলএসি সংলগ্ন এলাকায় টহলদারিতে যেতে পারছে না ভারতীয় সেনা।
পাশাপাশি উত্তর লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডি বিমানবাহিনীর ঘাঁটির অদূরে দেপাসাং এলাকায় এলএসি পেরিয়ে ঢুকে আসা লালফৌজ এখনও পিছু হটেনি বলে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে।